ড্রাই মিক্সড ফ্রুটস (রোস্টেড)

৫০০ গ্রাম
৳ ৬৬০

প্রাপ্যতা: স্টক

নানা ধরনের ফল যেমন স্বাভাবিক অবস্থায় খাওয়া যায়, তেমনি শুকিয়ে খাওয়া যায়। স্বাভাবিক ও কৃত্রিম দুভাবেই ফলের আর্দ্রতা দূর করে শুকানো হয় এসব ফল ও বাদাম। এই শুকনো ফল ও বাদামগুলো একত্রে 'ড্রাই ফ্রুটস' নামেই পরিচিত। আমাদের দেশে কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, পেস্তা বাদাম এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ড্রাই ফ্রুটস।

শুধু সৌন্দর্যে নয় স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাট এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি উচ্চ উত্‍স। জেনে নেয়া যাক এসব ড্রাই ফ্রটুসের উপকারিতা।

কাঠবাদাম:

এতে আছে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি এসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন। ব্রণ প্রতিহত করার জন্য কাঠবাদাম অত্যন্ত কার্যকর। এরা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিকারী এবং ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধির কাজেও পারদর্শী। এছাড়াও কাঠবাদাম রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি শরীরে লাং এবং স্তন ক্যান্সারের বাসা বাঁধতে বাধা দেয়।

কিসমিস:

কিসমিস দাঁতের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ক্যাভিটিস দূরে রাখে। এই ফুড ভিটামিন এ এর উত্‍কৃষ্ট উত্‍স এবং এরা দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও আপনার চোখ রক্ষা করে। কিসমিস ত্বকে এনে দেবে আলাদা চমক কেননা এতে থাকা রেসভেরাট্রোল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে হয়ে যাওয়ার গতিকে ধীর করে দেয়। কিসমিসে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনে ভরপুর। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাদ্য এটি।

আখরোট:

আখরোট মস্তিষ্কের খাবার হিসাবে পরিচিত কেননা আমাদের মস্তিষ্কের ৬৯% ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড দ্বারা গঠিত হয়, যা আখরোটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও আখরোট কার্ডিওভাসকুলারের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক হয়।

কাজুবাদাম:

কাজুবাদাম ভিটামিন ই এর সমৃদ্ধ উত্‍স। তাই এটি নিয়মিত খেলে আপনার ত্বকের জন্য অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করবে। কাজু বাদাম কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, মাইগ্রেইন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

পেস্তা বাদাম:

পেস্তা বাদাম সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি, অকাল বার্ধক্য এবং এমনকি ত্বকের ক্যান্সার থেকে আপনাকে রক্ষা করে। এছাড়া রক্তের শর্করা কমানো, হজমে সাহায্য, হার্টের রোগ প্রতিরোধ ও শরীরে ফাইবার ও প্রোটিন সরবরাহ করে এটি।