৭০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে লেখা কিছু পুথিতেও যেমন নিয়মিত আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তেমনই আধুনিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানও আখরোটের উপকারিতার কথা স্বীকার করেছে। এর উপকারিতা এতটাই যে হাতে হাতে ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা।
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
আখরোটে ওমেগা থ্রি ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবারের যথাযথ ভারসাম্য থাকে। ফলে যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং-এর পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আখরোটকে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করুন।
২. নিদ্রাহীনতা কমায়:
আখরোটে মেলাটোনিন বলে একটি উপাদান থাকে। এই মেলাটোনিন ঘুমের পক্ষে ভাল। ফলে যাঁরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত আখরোট খেলে উপকার পাবেন।
৩. চুলের পক্ষে ভাল:
আখরোটে থাকে ভিটামিন বি সেভেন। এই ভিটামিন চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া কমায়, এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৪. হার্টের রোগ দূরে রাখে:
আখরোটের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে খারাপ (ব্যাড) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল (গুড) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে হার্টের রোগের সম্ভাবনা কমে।
৫. ত্বকের উজ্জলতা বজায় রাখে:
আখরোট বি-ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই আখরোট আপনার ত্বকে চট করে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে।
৬. স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে:
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক স্থিরতা আসে।